আসিফ মাহমুদ : যশোরের মণিরামপুরে বিএনপি নেতা আবু মুছা ও শহীদ ইকবাল গ্রুপের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রুপ নিয়েছে। সোমবার সকালে (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে মুছা গ্রুপের অফিসের সামনে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে মুছা গ্রুপের দুই জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন, বিএনপি নেতা সামছুজ্জামান শান্ত ও ইজাজুল।
এদিকে সংঘর্ষের পরপরই পৌর ছাত্রদলের সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের মোবাইল সার্ভিসিং ও কম্পিউটারের দোকানের তালা ভেঙে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে মণিরামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য আবু মুছা জানান, সকালে উপজেলা চত্বরে অবস্থিত শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে নিজ বাসার সামনে অস্থায়ী কার্যালয়ে দলীয় অনুসারীদের নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করেন তিনি। আলোচনা শেষে খাবার বিতরণের কাজ চলছিল। তখন থানা বিএনপির সভাপতি শহীদ ইকবাল তার অনুসারীদের নিয়ে ফুল দিয়ে ফিরছিলেন। হঠাৎ শহীদ ইকবালের কয়েকজন অনুসারী তার (মুছা) সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। তারা ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে অফিসের সামনে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেল ও চেয়ার ভাংচুর করে। হামলায় তার গ্রুপের শামছুজ্জামান শান্ত ও ইজাজুল নামে দুই জন আহত হন বলে দাবি করেন আবু মুছা।
পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলামের মদদে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন মুছা গ্রুপের অনুসারীরা।
তবে হামলার ঘটনায় ভিন্ন কথা বলছেন থানা বিএনপির সভাপতি শহীদ ইকবাল হোসনে। তিনি বলেন, র্যালি নিয়ে ফুল দিয়ে ফেরার পথে মুছা গ্রুপের কয়েকজন আমার লোকজনকে লক্ষ্য করে কটুক্তি করে। আমার সাথে থাকা কেউ যেন কোন প্রকার শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করে সেই জন্য পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু ও সম্পাদক নিস্তার ফারুকসহ সিনিয়র নেতারা ব্যারিকেড দিয়ে ওই স্থান পার হচ্ছিলেন। তখন মুছা গ্রুপের লোকজন খাইরুল ইসলামের পাঞ্জাবী ধরে টানাটানি করে এবং ছাদের ওপর থেকে ইটপাটকেল ছোঁড়ে। তারা আমার লোকজনকে ধাওয়া করে। পরে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
মণিরামপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। কোন পক্ষ মামলা করতে চাইলে তা গ্রহণ করা হবে।
No comments:
Post a Comment