আবার যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের নামও রাজাকারের তালিকায় উল্লেখ রয়েছে।
রাজশাহী বিভাগের ৮৯ নম্বর তালিকায় (ক্রমিক নম্বর ৬০৬) নাম রয়েছে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুসহ ৫ জনের নাম। এই পাঁচজন এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ। আবার তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাডভোকেট মহসিন আলীর নামও রয়েছে সেই তালিকায়।
রাজাকারের তালিকা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আবদুস সালামের পরিবারের সদস্যরা। আবদুস সালামের পরিবারের ৫ জন সদস্য মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহত হন। তবে ওই সময় আবদুস সালাম ভারতে অবস্থান করছিলেন। অথচ তার নামটিও রয়েছে রাজাকারের এই তালিকায়।
রাজাকারের তালিকায় এসব ব্যক্তিদের নাম দেখে এটি লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের পরিবারের সদস্য আরিফুল হক কুমার।
রাজশাহী বিভাগের রাজাকারদের তালিকায় যে নামগুলো রয়েছে ৮৯ নম্বর তালিকায় থাকা ৫ জনের মধ্যে অপর দুজন হলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবদুর রউফ ও পুলিশ কর্মকর্তা এসএস আবু তালেব।
তবে এই তালিকায় রাজশাহীর অন্যতম রাজাকার তৎকালীন জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট আফাজ উদ্দিন, শান্তি কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিন এবং ওয়াহেদ আলী মোল্লার নাম নেই। এ তিনজনই রাজশাহীর রাজাকারদের মধ্যে অন্যতম বলে নিশ্চিত করেছেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষকরা।
রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ওয়ালিউর রহমান বাবু বলেন, রাজশাহীর অন্যতম রাজাকার ছিলেন অ্যাডভোকেট আফাজ উদ্দিন, শান্তি কমিটির সভাপতি আয়েন উদ্দিন এবং চিহ্নিত রাজাকার ওয়াহেদ আলী মোল্লা। কিন্তু তাদের নাম যদি রাজাকারের তালিকায় না থাকে তাহলে খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। আবার যারা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন এসব ব্যক্তিদের নামও যদি এই তালিকায় থাকে, সেটিও হবে চরম লজ্জাজনক।
No comments:
Post a Comment