যশোর পৌরসভার সীমানা বাড়িয়ে গেজেট প্রকাশ! || চ্যানেল দূর্জয়। - চ্যানেল দূর্জয়

Most Popular

asdsaa.png চ্যানেল দূর্জয়-নির্ভীক যে কণ্ঠস্বর

সদ্যপ্রাপ্ত

Post Top Ad

asdsaa.png

যশোর পৌরসভার সীমানা বাড়িয়ে গেজেট প্রকাশ! || চ্যানেল দূর্জয়।



আসিফ মাহমুদ   : বয়সে অনেক প্রাচীন হলেও আয়তনের দিক থেকে অনেকটাই ছোট যশোর পৌরসভা। দেড়শ বছরেরও বেশি পুরাতন এই পৌর এলাকার আয়তন সাড়ে ১৪ বর্গ কিলোমিটারের একটু বেশি। তবে এবার বাড়ছে এই পৌরসভার সীমানা। শহর সংলগ্ন ৬টি ইউনিয়নের ৭ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌর এলাকায় যুক্ত হতে চলেছে। ইতোমধ্যে যার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ অনুযায়ী যশোর পৌরসভার এই সীমানা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় যার গেজেট প্রকাশ করেছে। গত ২৪ আগস্ট শনিবার এই গেজেট প্রকাশ হয়।

যশোর পৌরসভার সীমানার বিস্তৃতি নিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সদরের ৬টি ইউনিয়নের বেশ কিছু অংশ পৌরসভার সাথে যুক্ত হচ্ছে। নির্ধারিত কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর এসব জায়গা পৌর এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হবে। তিনি জানান, ইতিমধ্যে যেসব ইউনিয়নের অংশ বিশেষ পৌরসভায় অর্ন্তভূক্ত হবে সেসব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

উপশহরের বিরামপুর, নওয়াপাড়ার শেখহাটি, কিসমত নওয়াপাড়া ও নওদাগ্রাম, আরবপুরের খোলাডাঙ্গা, ফতেপুরের ঝুমঝুমপুর ও বালিয়াডাঙ্গা, রামনগর ইউনিয়নের রামনগর, মুড়লী ও মোবারককাঠি এবং চাঁচড়া ইউনিয়নের চাঁচড়া

যশোর পৌরসভার সীমানা সম্প্রসারণ সংক্রান্ত প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়েছে, কোন ইউনিয়ন পরিষদের যদি এই সীমানা সম্প্রসারণ নিয়ে কোন আপত্তি থাকে গেজেটটি প্রকাশের তারিখ হতে অনূর্ধ্ব ৩০ দিনের মধ্যে আপত্তি জানাতে হবে। আপত্তিটির বিষয়টি নিয়মানুযায়ী ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, সীমানা সম্প্রসারণ নিয়ে আপত্তি জানানো হলে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। শুনানিতে সীমানা নির্ধারণের পক্ষে বিপক্ষে উত্থাপিত মতামত বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে সুপারিশ পাঠানো হবে।

যশোর পৌরসভা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়, আয়তনে তুলনামূলক ছোট হওয়ায় উন্নয়ন কাজে অনেক দাতা সংস্থা এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয় না। মূলত পৌরসভার আয়তনের উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ আসে। বর্তমানে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে এই পৌরসভার শত কোটি টাকার উপরে উন্নয়ন কাজ চলছে। পৌরসভার আয়তন বাড়লে এই বরাদ্দ আরো বেশি হতো বলে সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। সূত্র মতে, পৌরসভার আয়তন বৃদ্ধির এই বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলে উন্নয়ন কাজে আরো নতুন নতুন বরাদ্দ আসবে।

জানা যায়, উপশহর, নওয়াপাড়া, আরবপুর, ফতেপুর, রামনগর ও চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের অর্ন্তভূক্ত মোট ৩ হাজার ৪৬৩টি দাগ পৌর এলাকার সাথে যুক্ত হচ্ছে। যার মধ্যে থাকছে উপশহর ইউনিয়নের বিরামপুর মৌজার ১১৩ দাগ, শেখহাটি মৌজার ১৮৫ দাগ ও কিসমত নওয়াপাড়ার ৬৯৭ দাগ। এদিকে নওয়াপাড়া ইউনিয়নের নওদাগ্রামের ১ থেকে ৩৫০ দাগ। আরবপুর ইউনিয়নের খোলাডাঙ্গার ২৩৫ দাগ, ফতেপুর ইউনিয়নের ঝুমঝুমপুর মৌজার ৩১০ দাগ, বালিয়াডাঙ্গা মৌজার ৪৪০ দাগ, রামনগর ইউনিয়নের রামনগর মৌজার ৪৭৮ দাগ, মুড়লী মৌজার ১৬২ দাগ, মোবারককাঠি মৌজার ৩৫৫ দাগ ও চাঁচড়া ইউনিয়নের চাঁচড়া মৌজার ৪১৩ দাগ।

No comments:

Post Top Ad

asdsaa.png