অমিত ঘোষ।। প্রচুর পরিমাণ অবসাদ ও মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন অরবিন্দ ঘোষ। অবসাদের মাত্রা এত বেশি ছিলো যে, নিজের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষত করে আবার সেটা নিজের হাত দিয়ে টেনে বড় করেন। এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে ভারতের বর্ধমান জেলার কুসুমগ্রামের কামড়া গ্রামে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মন্তেশ্বর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কেন এভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন ওই যুবক? তার মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং নিহতের পরিবরের বরাতে 'নিউজ ১৮' এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে পরিচিতদের সঙ্গে গল্প করছিলেন অরবিন্দ। গল্পের ফাঁকে বাড়ি যান অরবিন্দ। বাড়িতে ঢুকে অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করেন। 'এক্ষুনি সব শেষ করে দেব', বলতে বলতেই বাড়িতে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে নিজেই নিজের গলায় কোপ মারতে থাকেন। তা দেখে তার মা শঙ্করী ঘোষ ছেলেকে বাধা দিতে যান।
অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তাতে তিনিও আহত হন। ততক্ষণে কেটে ফেলা গলার নলিতে হাত দিয়ে সেই ক্ষত আরও বড় করে ফেলেন অরবিন্দ। গোলমাল শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তারাই উদ্যোগী হয়ে ধরাধরি করে গাড়িতে করে রক্তাক্ত অবস্থায় মন্তেশ্বর হাসপাতালে নিয়ে যান। পথেই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের চিকিৎসকরা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা ও আত্মীয় পরিজনরা জানান, কয়েক মাস ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই যুবক। চিকিৎসার জন্য কথাবার্তাও চলছিল। বাড়িতে তিনি মায়ের সঙ্গেই থাকতেন। চাষবাসের কাজও করতেন। এমনিতে স্বাভাবিক থাকলেও মাঝেমধ্যেই অসংলগ্ন আচরণও করতেন তিনি।
No comments:
Post a Comment