সাগরের মোবাইলের আলোয় রাসেলের ঘাড়ে কোপ দেয় শামিরুল - ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর - চ্যানেল দূর্জয়। - চ্যানেল দূর্জয়

Most Popular

asdsaa.png চ্যানেল দূর্জয়-নির্ভীক যে কণ্ঠস্বর

সদ্যপ্রাপ্ত

Post Top Ad

asdsaa.png

সাগরের মোবাইলের আলোয় রাসেলের ঘাড়ে কোপ দেয় শামিরুল - ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর - চ্যানেল দূর্জয়।




বিশেষ প্রতিনিধি।।  বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সদরের ভেকুটিয়া গ্রামের রাসেল হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন সাগর হোসেন। আস্তে মোটরসাইকেল  চালাতে বলায় তাকে নৃশংসভাবে খুন করার কথা জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। শনিবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দীন হোসাইন তার জবানবন্দি শেষে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। আটক সাগর হোসেন বালিয়া ভেকুটিয়া শ্মশানপাড়ার শানু ফকিরের ছেলে। এদিকে, মামলায় আটক অপর তিনজনকে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

সাগর হোসেন বলেছেন, গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে রাসেলদের বাড়ির সামনে স্থানীয় মহিলা মেম্বরসহ বেশ কয়েকজন এলাকায় ত্রাণ দেয়ার ব্যাপারে আলোচনা ও তালিকা তৈরি করছিল। এমন সময় সামিরুল, পিচ্চি বাবুসহ চারজন দুইটি মোটরসাইকেলে বেপরোয়াগতিতে ধুলা উড়িয়ে চলে যায়। এ সময় রাসেল মোটরসাইকেল দ্রুতগতিতে চালানোর প্রতিবাদ করে। সামিরুল, পিচ্চি বাবুসহ তারা চারজন মোটরসাইকেল থামিয়ে কথাকাটাকাটি শুরু করে। এ পর্যায়ে রাসেলের পিতা ও মহিলা মেম্বর এসে তাদের থামিয়ে দেয়। চলে যাওয়ায় সময় সামিরুল তাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়ে যায়। রাতে সামিরুল, পিচ্চি বাবু, সাগরসহ এজাহারনামীয় ৮ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে রাসেলকে বাড়ির সামনে থেকে ধরে নিয়ে আসে। এ সময় রাসেলের ভাই আল আমিন বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এরপর সাগরের মোবাইলের আলোয় সামিরুল দা দিয়ে রাসেলের ঘাড়ে কোপ দিলে মাটিতে পড়ে যায়। চিৎকার শুরু হলে তারা সকলে পালিয়ে যায়।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, আরবপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বর এজাহারভুক্ত আসামি শহীদুজ্জামান শহীদের নেতৃত্বে সকল আসামি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলবাজি, খুনখারাবি ও মাদকের কারবারসহ নানা অপরাধ অপকর্ম করে আসছিল। বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রাসেল তাদের অপকর্মে বাধা দেয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়। গত ১৫ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে বালিয়া ভেকুটিয়া শ্মশানপাড়ার রবিউল ইসলাম বাবুর মুদি দোকানের সামনে রাসেলসহ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকর্মী করোনায় অসহায়দের জন্য ত্রাণ দেয়ার তালিকা করছিল। এসময় সামিরুল, পিচ্চি বাবুসহ কয়েকজন বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাইয়া আসে। তাদের আস্তে মোটরসাইকেল চালানোর কথা বলায় রাসেলকে খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। আবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আসামিরা ধারালো অস্ত্রসহ বাড়ির সামনে থেকে রাসেলকে জোর করে ধরে নিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। এসময় তার ভাই আলামিন ঠেকাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে তাদের চিৎকারে আশাপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা চলে যায়। আহত রাসেল ও আল আমিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। গুরুতর আহত আল আমিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয় হয়েছে।

এ ব্যাপারে নিহতের পিতা ছালেক মৃধা বাদী হয়ে ২৪ জনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত অভিযোগে চারজনকে আটক করে। আটকৃতরা হলো, সদর উপজেলার চাদপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ওমর আলী, বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের মিয়ারাজ মন্ডলের ছেলে ইমদাদুল হক এমএ, মৃত সলেমান মন্ডলের ছেলে রিজাউল ইসলাম ও শানু ফকিরের ছেলে সাগর। শানিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে সাগর ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ওই জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় আটক অপর তিনজনকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক প্রত্যেককে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

No comments:

Post Top Ad

asdsaa.png